জন্মভূমি ডেস্ক : বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে। সে কারণে কিছুটা সমন্বয় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এমপি।
তিনি বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা হারে বাড়বে। বিদ্যুতের নতুন দর ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এখন বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ পড়ছে ১২ টাকার মতো আর ৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি বছর বিদ্যুতে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিতে হবে। ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে সমন্বয় করা হবে। কম ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম কম বাড়বে আর ওপরের দিকে বেশি বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায়। তেল-গ্যাস ও কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর ক্ষেত্র বিশেষে একই থাকলেও আগের চেয়ে ডলার প্রতি ৪০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। এখানেই বিশাল গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য কাজ করছি।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আধুনিক প্রাইসিংয়ে যাচ্ছি। ইনডেক্স ও ফর্মূলা করা হয়েছে প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হবে। প্রতিবেশী দেশ প্রতিদিন সমন্বয় করে। সেথানে অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সরকার অন্যভাবে সহায়তা করে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গড়ে ২৪ টাকার ওপরে দাম পড়ছে। সার ১৬ টাকা, বিদ্যুতে ১৪ টাকা দরে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে দাম সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা তো খরচ উঠাতে চাচ্ছি। খুবই সামান্য পরিমাণে দাম বাড়বে। লাইফ লাইন গ্রাহকের (৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) মাসের বিল ২০ টাকার মতো বাড়তে পারে। এখন গ্রাহকরা যদি একটু সাশ্রয়ী হন, তাহলে বিল আগের অবস্থায় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা।