
জন্মভূমি ডেস্ক : ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এমন স্লোগান লিখা সংবলিত বিদ্যুৎ বিল নাটোরের নলডাঙ্গায় উপজেলার ৪০ হাজার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে বিষয়ে নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা (এজিএম) মো. আল ইমরান আহমেদ বলেছেন, নতুন জয়েন্ট করা ব্যক্তিরা ভুল করে গ্রাহকদের কাছে বিলের কপিগুলো পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা সংশোধনের চেষ্টা করছি।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের প্রায় ৪ মাস। রাষ্ট্রীয়সহ বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে তার নাম মুছে গেলেও বাদ যায়নি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিস থেকে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার এখনও অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে সারাদেশে শেখ হাসিনার নাম, ফলকসহ টাঙানো ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো বাদ হয়নি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের বিদ্যৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান। এখনো বিলে শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রচার বার্তা চালানো হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসের বিলের কাগজেও তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে চলছে ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা।
বিদ্যুৎ গ্রাহক ও নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি এম এ হাফিজ বলেন, হাসিনা পতনের চার মাস হলেও তার নামসহ স্লোগান বিদ্যুৎ বিলে রয়েয়ে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও হাসিনার নাম প্রচারে ব্যস্ত। এটা কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। অচিরেই এটি কর্তৃপক্ষের সংশোধন করা উচিত। এখানে যারা আছে তারা তার সমর্থক গোষ্ঠী হতে পারেন। অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে প্রচারণা চালিয়েছেন। একজন স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ এমনটা কেন করছে, যেটি কাম্য নয়। দ্রুত সংশোধন করা উচিৎ।
রায়হান হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, সব জায়গাহ থেকে হাসিনার নাম সরানো হলেও বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এখনও তার নাম আছে। একটা সরকারি অফিস কি ভাবে ভুল করে। এটা দ্রুত সংশোধন করা দরকার।
আরেক গ্রাহক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার নাম দেখে অবাক হয়েছে। দেশে ছেড়ে পালোর চার মাসে সব স্থান থেকে তার নাম ছবি সরানো হয়েছে। কিন্তু এখনও বিলের কাগজে তার স্লোগান। এটা কেন সরানো হয়নি। আমরা গ্রাহকরা চাই একজন ফ্যাসিবাদী ব্যক্তির নাম কেন থাকবে।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা (এজিএম) মো. আল ইমরান আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ৫/৬ মাসের বিলের কাগজ একবার ছাপানো হয়। যেহুত্ব ৫ আগস্টের আগে এসব বিল ছাপানো। আমরা কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। অফিসে নতুন কয়েকজন ব্যক্তি জয়েন করছে, তারা ভুল করছে। তবে আগামী মাসে সংশোধন করে বিলের কাগজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত