ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই নিয়ে টান পাঁচ ম্যাচে জয় পেলো সিলেট। সোমবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। ১২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ না করেই সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। এরপর উসমান ঘানি ও দিলশান মুনাবিরা মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৩২ রানে ১৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন দিলশান মুনাবিরা। পরের বলেই ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান রবিন দাস।
দলীয় ৫১ রানে ২৮ বলে ২৭ রান করে ফিরে যান উসমান ঘানি। এরপর দলীয় ৭৪ রানে মোহাম্মদ মিথুন আউট হলে ক্রিজে আসেন আরিফুল হক। আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নাসির হোসেন। দলীয় ১২৪ রানে ১৬ বলে ২০ রান করে আউট হন আরিফুল।
এরপর ইনিংসের শেষ বলে ৩১ বলে ৩৯ রান করে রান আউট হন নাসির হোসেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে ইমাদ ওয়াসিম নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট।
১২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও মোহাম্মদ হারিস। উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর দলীয় ৫২ রানে ২০ বলে ১২ রান করে আউট হন নাজমুল শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর দ্রুতই দুই উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় ৬১ রানে ৩২ বলে ৪৪ রান করে মোহাম্মদ হারিস ও ৩ বলে ১ রান করে আউট হন জাকির হাসান। এরপর ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক।
তবে ৯৩ রানে ২০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দলীয় ১০৫ রানে ২৫ বলে ২৭ রান করে তাসকিনের বলে আউট হন মুশফিক। তবে থিসারা পেরারার ১১ বলের ১৬ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেলো সিলেট। আকবর আলি ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকা ডমিনেটর্সের পক্ষে নাসির হোসেন নেন দুটি উইকেট।