জন্মভূমি ডেস্ক : বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শীলা খানম নামে এক নারীকে তার পরকীয়া প্রেমিক হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক রাজিব মজুমদারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
পুলিশ জানায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের একটি বাগান থেকে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শীলা খানমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক রাজিব মজুমদার (২১) ও তার বন্ধু মো. কামরুল হাসান হৃদয়কে (২২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। নিহত শীলা খানমের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়ুয়া কংশুর গ্রামে।
পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বলেন, ‘পরকীয়া প্রেমিক রাজীব মজুমদার গোপালগঞ্জের একটি জুয়েলারি দোকানে চাকরির সুবাদে সেখানকার বাসিন্দা শীলা খানমের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়া ও একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর শীলা বেগম রাজীব মজুমদারকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজীব মজুমদার গোপালগঞ্জ থেকে শীলাকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে যান। পরে তারা সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে চাঁদপুরে আসেন। লঞ্চেও শীলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় এবং সেখানেই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাজীব। কিন্তু, সেখানে হত্যা করতে না পেরে লঞ্চ থেকে নেমে অটোরিকশা দিয়ে তারা চাঁদপুরে নিজ এলাকায় চলে আসে। সেখানে রাজীব তার বন্ধুর সহযোগিতায় শীলাকে বাগানে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে আমরা তদন্তে নেমে মোবাইলফোন কলের সূত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পরকীয়া প্রেমিক রাজিবকে বাবুরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন্ধু হৃদয়কেও গ্রেপ্তার করা হয়।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পিবিআই ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান, কবির আহমেদ, এসআই আমিরুল ইসলাম মীর, আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা।