জন্মভূমি ডেস্ক : মানবিক বিরতির পর পুরো গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সোমবার তিনি বলেন, সেনাবাহিনী পুরো গাজা উপত্যকায় আরও শক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করবে।
টাইমস অফ ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এমন কথা বলেছেন গ্যালন্ট।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনার কাছে এখন কয়েক দিন আছে। আমরা যুদ্ধে ফিরে আসব। আমরা একই পরিমাণ বা আরও বেশি শক্তি ব্যবহার করব। আমরা পুরো গাজায় লড়াই করব।’
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে উদ্দেশ্য করে গ্যালান্ট ইসরায়েলি সেনাদের বলেন, আপনি যে আপনার দলকে সংগঠিত করছেন, বিশ্রাম নিচ্ছেন। একই কাজ শত্রুরাও করছে।
কাতারের মধ্যস্ততায় হামাস ও ইসরায়েলের সম্মতিতে শুক্রবার থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। সেটি শেষ হয় সোমবার। পরে দুই পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি আরও দুইদিন বৃদ্ধি করেছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই হামাস তাদের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের শর্ত অনুযায়ী মুক্তি দিচ্ছে। একইভাবে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার পর ওইদিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক ও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ৪৮ দিন ধরে তাদের অবিরাম হামলায় গাজার বাসিন্দা সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় ৪৮ দিন পর তারা হামলা থামিয়ে যুদ্ধে চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল, যা শুরু হয় গত শুক্রবার থেকে।
ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, জিম্মি মুক্তির এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যে যুদ্ধ, সেটা আবারও শুরু হবে। যদি ইসরায়েলি বাহিনী এরপর গাজার দক্ষিণে মনোযোগ দেয় তখন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, হামাস যেখানেই থাকবে, তাদের ধ্বংস করা হবে।