ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পলি পড়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে শোলমারি স্লুইজ গেট। আবারও প্লাবিত হওয়ার আশংকা বিল ডাকাতিয়া। বসে নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিল ডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য শোলমারী স্লুইজ গেটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জার্মান তৈরি সাব মার্সিবল দুটি মটর স্থাপন করা হয়েছে।
বিল ডাকাতিয়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল। বিল ডাকাতিয়ার পানি সরানোর মাধ্যম শোলমারী স্লুইস গেটে পলি পড়ে আবারও কপাট বন্ধ হয়ে পড়েছে। শোলমারী গেট এবং নদীতে পলি পড়ে ডাকাতিয়া বিল বারবার মার খাচ্ছে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ইতোমধ্যে খুলনা জেলা প্রশাসক ঐ এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবছর বিল ডাকাতিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। প্রশাসন ও এলাকাবাসির প্রচেষ্টায় শৈলমারি গেট দিয়ে বিলম্বে কিছুটা পানি কমলেও এ অঞ্চলে ধান উৎপাদন করতে পারেনি।
আমভিটা গ্রামের আদিত্য কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর তার ২ বিঘা জমিতে ধান হয় কিন্তু পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এবার ধান উৎপাদন করতে পারিনি। এবার আগাম বৃষ্টির কারণে আগামী মৌসুমে বিলে ধান উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছি।
কৃষ্ণনগর গ্রামের অমল কুমার মণ্ডল (৬০), তারক চন্দ্র মণ্ডল (৪৮) জানান; প্রশাসন উদ্যোগ নিলেও ডাকাতিয়া বিলে ঘেরের ভেড়ী পানির নিচেয় থাকার কারণে বোরো ধান উৎপাদন করতে পারিনি। তবে বিকল্পভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য শোলমারী গেটে মটর বরানো হচ্ছে এতে আমরা আশান্বিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তরিকুল ইসলাম জানান, শোলমারী স্লুইস গেটে ২টি পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি পাম্প দিয়ে সেকেন্ডে ১০০০ লিটার পানি নিষ্কাশিত হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, শোলমারী রেগুলেটরের মুখে এবং আপার ভদ্রা নদীটি পলি পড়ে আবারও ভরাট হয়ে গেছে। এটা অপসারণ খুব ব্যয়বহুল। তবুও আমরা বসে নেই। জলাবদ্ধ সৃষ্টি হওয়ার আগেই শোলমারী স্লুইজ গেটে দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেচ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকেই পানি সরানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।