
জন্মভূমি রিপোর্ট : পটল একটি জনপ্রিয় সবজি। যা পুষ্টিকর। চাষে খরচ কম হলেও ফলন বেশী হয় এবং লাবও বেশী। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ৩০জন কৃষক ৩০টি প্রদর্শনী প্লটে এক বিঘা করে জমিতে পটল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ডুমুরিয়ার সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দামুদর কাঠি, বলিয়ানপুর ও কেরালকাতা গ্রামে মাটির বেডে চাষ করা হয়েছে পটল। মাচার চেয়েও বেডের ফলন ভালো হয়। এই প্রকল্প থেকে কৃষকদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ, বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল প্রকার উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। কৃষক পাইকারী প্রতিকেজি ৪০টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। সন্ধ্যা মালতি জাতের পটল রোপণ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ফলন ১৮- থেকে ২৪ টন। প্রতি গাছে সর্বোচ্চ ২৪০ টি ফল ধরে, যার মোট ওজন প্রায় ১০ কেজি। বাউনির প্রয়োজন হয়না। টিউবারের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। শাখা কলমের ক্ষেত্রে পরিক্ক কান্ড ব্যবহার করা হয়। এদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কান্ড মরে গেলেও শিকড় জীবিত থাকে। ফলে এই শিকড় থেকেই আবার গাছ জন্মে। রোপণের আগে পটোলের শিকড় গজিয়ে নিলে বেশি ভালো হয়। উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু পটল চাষের জন্য বেশি তাপমাত্রা ও সূর্যালোকের প্রয়োজন। বন্যামুক্ত ও পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি পটল চাষের জন্য ভাল। নদীর তীরে পলিযুক্ত মাটিতেও পটল চাষ করা যায়। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষাকালেও ক্ষেত নষ্ট হয় না। পটল দীর্ঘমেয়াদি সবজি ফসল। সাধারণত জাতভেদে ফুল ফোটার ১০-১২ দিনের মধ্যে পটল সংগ্রহের উপযোগী হয়।
কলারোয়ার দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফজর আলী ও শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা এই প্রকল্প থেকে অনেক উপকার পেয়েছি। সব কিছু বিনা মূলে পেয়েছি। ভালো দামে পটল বিক্রি করতে পেরেছি। লাভ বেশী । বেড পদ্ধতি খরচ কম। বাউনীর প্রয়োজন হয়না।
গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, পটল চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ভালো দামে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি করছেন। কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোন জমি পতিত ফেলে না রেখে আবাদ করা হয়েছে। সে মোতাবেক কৃষকদের ফসল ফলাতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের কীটনাশক ও সার বিনামূল্যে এই প্রকল্প থেকে দেয়া হয়েছে।