
ডেস্ক রিপোর্ট : চারটি ফ্ল্যাটে সংরক্ষিত পচনশীল মালামাল, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, তৈজসপত্র এবং রান্নাঘরের বিভিন্ন সামগ্রী হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-কন্যার নামে নিবন্ধিত চারটি ফ্ল্যাটে রক্ষিত যেসব মালামাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেসব প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সোমাবার সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশে দুদক ঢাকার গুলশান-১ এলাকার র্যাংকন আইকন টাওয়ারে বেনজীর পরিবারের নামে থাকা ১২/এ, ১২/বি, ১৩/এ ও ১৩/বি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করে। এসব ফ্ল্যাটে সংরক্ষিত পচনশীল মালামাল, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড়-চোপড়, তৈজসপত্র এবং রান্নাঘরের বিভিন্ন সামগ্রী হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় আদালত।
ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের আদেশে বলা হয়, নিলামযোগ্য মালামালের নমুনা সংরক্ষণ করে অবশিষ্ট মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভাণ্ডারে জমা দিতে হবে। এসব মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভাণ্ডারে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ প্রধান, যিনি একাধারে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ ইউনিট র্যাবেরও প্রধান ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক কালের কণ্ঠ। সেখানে সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। এরপর আলোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে।
এরপর ২২ এপ্রিল দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, বেনজীরের ‘অবৈধ সম্পদ’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন তারা।
একই দিন এক আদেশে দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদাত হোসেনের বেঞ্চ।
নির্দেশনার পর সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আটটি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক।
পরে দুদকের আবেদনে বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
সেই সঙ্গে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ারও অবরুদ্ধ করার আদেশ আসে। সেই অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেয় দুদক।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত