ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরের বেনাপোলে ও শার্শায় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করেছে।
বেনাপোল বলফিল্ড ও শার্শা উপজেলার পাইলট মডেল হাইস্কুল থেকে সকাল ১০টার সময় র্যালি ও আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের যাত্রা শুরু হয়।বাদ্যের তালে তালে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য লোকজ উপকরণ গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি,পতুল, রঙিন প্লেকার্ড আনন্দ শোভাযাত্রায় যোগ করেছে অনন্য মাত্রা।
উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বর্ষবরণের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উৎসবকে ঘিরে চিরায়ত আনন্দ শোভাযাত্রা, পান্তা-রুই মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে দেশীয় মুখরোচক খাবার পরিবেশন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের মত পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে ।
বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্টান, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিরা শার্শা ও বেনাপোলে বৈশাখির অনুষ্টানে যোগ দেয়। উৎসবে মাতে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষ।
অপরদিকে বেনাপোলে পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির উদ্দ্যোগে বেনাপোল বলফিল্ড ময়দান থেকে বিশাল র্যালি ও আনন্দ শোভাযাত্রার বের হয়। পহেলা বৈশাখের উৎসবকে ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের পান্তা-রুই মাছ ও ভর্তা পরিবেশন করা হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পান্তা ও বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খাবারের দায়িত্ব পালন করেন পৌর বিএনপি ও ছাত্রদল।
এ সময় শোভাযাত্রায় সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার সহ উপজেলা প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক নেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা ও আনন্দ শোভা যাত্রাসহ নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে ১লা বৈশাখ উৎযাপন করেছে।
