
জন্মভূমি রিপোর্ট : বেনাপোল আন্তজার্তীক চেকপোষ্টে দেশী, বিদেশি পাসপোর্টযাত্রীদের সাথে প্রতারনা, ছিনতাই ও ভ্রমনকর জালিয়াতির অভিযোগে ১০টি দোকান/প্রতিষ্ঠিানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগে তালা ঝুলিয়ে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, চৌধুরী মার্কেটের রবিউল ইসলামের মধুমতি ষ্টোর, ইবাদত হোসেন, মফিজুর রহমান, আমিন উদ্দিনের দোকান, মসজিদ মার্কেটের ইয়ামিন, ঢাকা হোটেলের পিছনে টিংকু মিয়া, রাজলী ষ্টোরের মুসা, রেজাউল মার্কেটে মিলন, হোটেল ফ্রেসের পাশে শহিদুল ও সাকিবের দোকান। এরা কেউ প্রতিষ্ঠানের নাম ঝুলিয়ে আবার কেউ সাইন বোর্ড বিহীন প্রতিষ্ঠানে এসব প্রতারনার কার্যক্রম চালাতো।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ ও ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রী শারমিন আক্তার (পাসপোর্ট নং এ-০৬০৫৮০৫১) ও জাকির খান (পাসপোর্ট নং এ-০৫৫৮৮৪) বলেন, আমরা খুব সকালে বেনাপোলে বাস থেকে নামি। বাবু ও রবি নামে ২ জন লোক আমাদের মধুমতি ষ্টোরে নিয়ে বলে ভারত যেতে হলে ফরমে টাকার নম্বর এবং কত টাকা নিয়ে যাচ্ছেন তা লিখতে হবে বলে টাকা বের করতে বলে। টাকা গুনে আমাদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার পর আমাদের সন্দেহ হয়। টাকা গুনে দেখি ১০ হাজার টাকা কম। বিষয়টি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কে জানালে পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোলে এক শ্রেণীর প্রতারকরা প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসষ্ট্যান্ড, রেল ষ্টেশন ও বন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে দ্রুত পাসপোর্টের কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এসব দোকানে যাত্রীদের নিয়ে আসে। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাল ভ্রমন কর ও পোর্ট চার্জ রশিদ তৈরী করে দেয়। সাথে থাকা টাকার নাম্বার লেখার কথা বলে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ১০টি প্রতিষ্টানে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এসময় পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে এসব প্রতিষ্টানের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। এর আগেও একাধিকবার এসব দোকানে তালা ঝুলিয়ে প্রতারকদের আটক করা হয়। তবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এরা লালিত থাকায় বার বার ছাড়া পেয়ে আবারও প্রতারনায় যুক্ত হয়েছে তারা।