যশোর প্রতিনিধি : ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন,দুই দিনে ১৩টি ট্রাক ১২০ টন কাঁচামরিচ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে।
এর মধ্যে বুধবার পাঁচটি ট্রাকে ৩৭ টন ও বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৮৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। মরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে,রাজ এন্টারপ্রাইজ,শিমু এন্টারপ্রাইজ ও সেঞ্চুরী প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচামরিচ যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
প্রতি টন ২৩৮ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ৭০ টাকা কেজি। এরপর রয়েছে পরিবহন খরচ। তবে আমদানি শুল্ক কমলে কাঁচামরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান আমদানিকারকরা।
এদিকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ যেন সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা।
নাভারনের খলিলুর রহমান বলেন,২০০ টাকায় কাঁচামরিচ কেজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে।শুনলাম আমদানি শুরু হয়েছে। এখন দাম কমতে পারে।
আসাদুজ্জামান আশা নামে এক ক্রেতা জানান, কাঁচামরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারো কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, দুই দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ টন কাঁচামরিচ ১৩টি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।পণ্য চালান দ্রুত খালাস দিতে বন্দরের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানিকৃত কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।