যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষনা ও আন্ডার ইনভয়েজিং এ সামাুদ্রিক মাছ আমদানি করে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি পাচার করা হচ্ছে ভারতে।
কাস্টমস সুত্র জানায় বলছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোস্তফা কর্পোরেশন ভারত থকে প্রতিকেজি আন্ডার ইনভয়েজিং করে ০.২০ সামুদ্রিক মাছ আমদানি করছে। অথচ একই বন্দর দিয়ে অন্যান্য আমদানিকারকরা প্রতিকেজি মাছ ০.৩০ থেকে ০.৫০ ডলারে মাছ আমাদনি করছে। রুপালী ব্যাংক ঢাকা, রমনা শাখায় আন্ডার ইনভয়েজিং এর মাধ্যমে এসব এলসি খোলা হচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোস্তফা কর্পোরেশনের এমনি একটি পন্য চালান আমদানি করেন যার এলসি নম্বর ০০৫৬ তারিখ- ২৫/০২/২৪। কাস্টমস বি/ই নম্বর সি-১৮০৩১ তাং২৭/০২/২৪ প্যচালানে মোট -৩৭. ৭৭৭ কেজি মাছ আমদানি করা হয়। পন্য চালানটি খালাশের দায়িত্বে ছিল, সিএন্ডএফ জিরো প্লাস। সিএন্ডএফ এজেন্ট রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আন্ডার ইনভয়েজিং করে মাছ আমদানি করছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট জিরো প্লাস আমদানিকারক আরিফ ট্রেডিং এরম মাধ্যমে গত ৭ /২/২৪ তারিখে ৯৩ হাজার ২৬২ কেজি সামুদ্রিক মাছ আমদানি করেন। সেখানেও প্রতিকেজি ০.২০ সেন্টে ঘোষনা দেওয়া হয়। মিথ্যা ঘোষনা ও আন্ডার ইনভয়েজিং এর মাধ্যমে আমদানি করা মাছে ১৮ টন মাছ ঘোষান অতিরিক্ত মাছ আটক করেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে আসদানি কারকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২১ লাখ টাকা জরিমান আদায় করে মাছের চালানটি খালাশ দেওয়া হয়।
আন্ডার ইনভয়েজ ও মিথ্যা ঘোষানায় আমদানি করা মাছে প্রতিকেজি ০.২০ সেন্ট ঘোষনা দিলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি মাছ ০.৯০ কেজি ডলারে শুল্কায়ন করে সরকারের ন্যায্য রাজস্ব আদায় করছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে অন্যান্য আমদানিকারকরা প্রতিকেজি মাছ ০.৪০ থেকে ০.৫০ ডলারে এলসি করলেও সিএন্ডএফ এজেন্ট জিরো প্লাস প্রতিকেজি ০.২০ ডলারেই এলসি করে যাচ্ছেন। যা মানি লন্ডারিং এর আওতায় বড় ধরনের অপরাধ। অন্যদিকে জিরো প্লাস সিএন্ডএফ এজেন্ট নিজেও একজন আমদানিকারক। আমদানিকারক জিরো প্লাস ২১/৪/২৪ তারিখ প্রতিকেজি মাছ ০.৩০ ডলারে এলসি করে বন্দর থেকে খালাশ গ্রহন করছেন। যার এলসি নং ০০৩৬ তে তিনি ৮৪ হাজার ৩৬০ কেজি সামুদ্রিক মাছ আমদানি করেন। যার কাস্টমস বি/ই নম্বর ৩৪৪৩০, পন্য চালানটি খালাশের দায়িত্বে ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট জিরো প্লাস। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রæত জিরো প্লাসের লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, আন্ডার ইনভয়েজিং ও মিথ্যা ঘোষনায় পন্য আমদানিতে আমার কঠোর অবস্থানে রয়েছি। মিথ্যা ঘোষনায় অতিরিক্ত মাছ আমদানি করলেই তা আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচেছ। তবে প্রতিকেজি মাছ মাত্র ০.২০ ডলারে এলসি করে বড় ধরনের মানি লন্ডারিং করা হচ্ছে, বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিআইসেল ও শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অন্যান্য আমদানিকারকরা আমাকে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।