যশোর অফিস : যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ১৭ নম্বর শেডে খালাসকৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিহীন পণ্যচালান আটকের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বলেন,আটককৃত পণ্য চালানটি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্রবিহীন অবস্থায় শেডে কিভাবে লোড-আনলোড করা হয় এবং উক্ত ঘটনায়কে বা কারা জড়িত ইত্যাদি সরেজমিন যাচাইপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতনকে আহবায়ক,মোহাম্মদ কামরুল হাসান পলাশকে সদস্য সচিব ও সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) ফয়সাল আহসানকে সদস্য করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কাস্টমস কর্তৃক আটককৃত পণ্যচালানটি পাচার ও চোরাকারবারির সাথে জড়িতদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তিন কার্যদিবস তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।
বন্দরের কারো দায়িত্ব পালনের অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান এই বন্দর কর্মকর্তা।
বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্র বিহীন ভারতীয় শাড়ীসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান আটক করা হয়েছে।
আটককৃত পণ্য চালানটির মোট ওজন ১৭ হাজার কেজি। যার শুল্ককর সহ মোট মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার রাতে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর সেড থেকে পণ্য চালানটি আটক করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল শুল্কভবনের ডেপুটি কমিশনার।