ক্রীড়া প্রতিবেদক : কাল মুম্বাইয়ের কন্ডিশন সহজ ছিল না। প্রথম ১০ ওভারে মেলে দারুণ সুইং ও সিমের দেখা। পরের ২০ ওভার মিলেছে স্পিন ও বাউন্স। শিশির ছিল না। সবকিছুই যেন ছিল ভারতের অনুকূলে। এর সঙ্গে পেয়ে যায় বিশাল সংগ্রহ। এরপর শামির বলে নিউজিল্যান্ডের আত্মসমর্পণ। কিউইদের গুড়িয়ে ভারতের ফাইনালে পৌঁছানের ম্যাচে অবিশ্বাস্য বোলিং উপহার দিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। এই ডানহাতি পেসার একাই তুলে নেন ৭ উইকেট। এদিকে কাল রোহিত শর্মার ছক্কায় শুরু, বিরাট কোহলির ইতিহাস গড়া শতক, শ্রেয়াস আইয়ারে ঝড় আর ভারতের ইতিহাস গড়া সংগ্রহ। রেকর্ড আছে আরো অসংখ্য। তবে সব ছাপিয়ে সবার মুখে শামি। শেষ বেলায় সব আলো নিজের দখলে নিয়েছেন তিনি। গড়েছেন অনেকগুলো রেকর্ড।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারায় ভারত। ৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৭ বল বাকি থাকেত ৩২৭ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। রানবন্যার ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৯.৫ ওভারে ৫৭ রানে ৭ উইকেট নেন শামি। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয়র যা সেরা বোলিং। বিশ্বকাপে তার ৫০ উইকেটও হয়ে গেল স্রেফ ১৭ ইনিংসে। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে যা দ্রুততম।
এছাড়া বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার হলেন শামি। তবে নক-আউট ম্যাচে এটিই সেরা বোলিং। ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর।
চলতি আসরে এটি তার তৃতীয় ৫ উইকেট শিকার। বিশ্বকাপের এক আসরে তিনবার ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ ৫ উইকেট। এই কীর্তিতেও প্রথম তিনি। এর আগে মিচেল স্টার্ক তিনবার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শামির এবারের বিশ্বকাপে মোট শিকার ২৩টি। ভারতের বোলারদের মধ্যে এক আসরে এটিই রেকর্ড। ২০১১ সালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে জাহির খান নিয়েছিলেন ২১ উইকেট। সব মিলিয়ে তার সামনে স্রেফ দুই অস্ট্রেলিয়ান। মিচেল স্টার্ক, ২০১৯ সালে ২৭ উইকেট ও গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০০৭ সালে ২৬ উইকেট।
শিরোপা জিততে শামিদের সামনে আর এক ধাপ বাকি। আগামী রোববারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দল।