জন্মভূমি ডেস্ক : জাতীয় শোক দিবসের একদিন আগে বাগেরহাটের রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে বোমাসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
রবিবার রাতে উপজেলার ভাগা বেতকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে ২ টি অবিষ্ফোরিত ককটেল বোমা, বিষ্ফোরিত ককটেলের ৭ টি জালের কাঠি, ৮টি লোহার রড, ১৩ টি লাঠি ও হাসুয়া উদ্ধার কার হয়েছে। রামপাল থানা পুলিশের এসআই শেখ মো. আসগর আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আটককৃতদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার শোলাকুড়া গ্রামের গাজী মাহাবুব আলমের পুত্র গাজী আরাফাত আলম (৩৫), কাশিপুর গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র তারিকুল ইসলাম (৪৬), সোনাকুড় গ্রামের এজাহার উদ্দিনের পুত্র মো. আলমগির হোসেন (৪৮), গৌরম্ভা গ্রামের মৃত রশিদ আকুন্জীর পুত্র মো. মাহাফুজ আকুন্জী (৪৫), বর্ণি গ্রামের মৃত শেখ মহিউদ্দিনের পুত্র শেখ খবির উদ্দিন (৫২), কদমদী গ্রামের মতলুব হোসাইনের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান (৪২), বারুইপাড়া গ্রামের মৃত আলম মোল্লার পুত্র মোল্লা আ. রাজ্জাক (৫৮) ও বাশতলী গ্রামের হাজি হাবিবুল্লাহর পুত্র মো. জুলফিকার আলী (৪৫)। আটককৃতদের ৭ জন উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতা ও বাকী আমামী মাহাফুজ আকুঞ্জী গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বলে জানা গেছে।
রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম জানান, রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টায় ভাগা বেতকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসামীরা জড়ো হয়। তারা নাশকতা সৃষ্টির যড়যন্ত্র ও ধ্বংসযজ্ঞ চালোনোর উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়া সহ বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করা, হেফাজতে রাখা ও বিস্ফোরন ঘটানো সহ সহায়তা করার অপরাধে ওই সময় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সময় অন্য আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রামপাল থানায় ১৮ জনসহ আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকী আসামিদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ৩ টায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।