আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটির শীর্ষকর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে বিচার বিভাগ। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই নির্দেশের পরপরই ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্সি ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ কমান্ডার কর্নেল ফাবিও অগাস্টোকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস বলেছেন, দাঙ্গায় তার কোনও ভূমিকা ছিল না। বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লুলা ডি সিলভা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার এক সপ্তাহের মাথায় বড় ধরনের দাঙ্গা শুরু করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা। এতে অন্তত প্রায় ১৫০০ জনকে পুলিশ একাডেমিতে আনা হয়। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে পৃথক জায়গায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা পাঁচ দিন সময় পাবেন। ব্রাসিলিয়ার এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। রোববার (৮ জানুয়ারি) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে দেশটির কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর কয়েক হাজার সমর্থক। এদিন ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। একপর্যায়ে কংগ্রেস ভবনের ছাদে উঠে যায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।