# নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই ও আসবাবপত্র, নেই পর্যাপ্ত জনবল
বিশেষ প্রতিনিধি
৬ বছর ধরে লাল ফিতায় বন্দী খুলনা সরকারি গণ-গ্রন্থাগারের আধুনিক ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প। এদিকে প্রতিবছর জীর্ণ ভবন ব্যয়ে খরচ হচ্ছে লাখ-লাখ টাকা। আর সঠিক সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই।
খুলনা মহানগরীর মানুষের জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাতে ১৯৬৪ সালে চালু হয় বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার। সময়ের আবর্তে আজ ভগ্ন প্রায় গ্রন্থাগারের মূল ভবন। পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাব আর বৃষ্টির পানি ঢোকায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই ও আসবাবপত্র। দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ভবনের উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। তাই ৬ বছর আগে নতুন ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণের আবেদন করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে জবাব আসেনি আজও।
সংকট কেবল ভবনেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে নেই পর্যাপ্ত জনবল। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেবা।
এখানে বই আছে ১ লাখ ৪৫ হাজারের মত বলে জানিয়েছেন গ্রন্থাগারের ক্যাটালগার আখিল কুমার দেবনাথ। তিনি আরো জানান, অনুমোদিত ম্যান পাওয়ার হচ্ছে ২৯ জন। কিন্তু কর্মরত আছি ১২ জন।
এত সংকটেও গ্রন্থাগারে পাঠকের আগমন একেবারে কম নয়। প্রতিদিন দেড়শ’ জ্ঞান পিপাসুর তৃষ্ণা মেটায় এই গ্রন্থাগারটি। যার মধ্যে চাকরির প্রার্থীরাই বেশি। একসময়
গ্রন্থাগারের এক পাঠক জানান, জবের জন্য চেষ্টা করছি। তাই জবের প্রস্তুতি নিতে যা-যা প্রয়োজন অর্থাশ জব রিলেটেড মোটামুটি সব বই-ই এখানে আছে। সেজন্যই এখানে আসা।
অপর এক পাঠক বলেন, সৃজনশীল পাঠকই বলতে পারেন।
গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষ সহকারী ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, এ লাইব্রেরিতে আগে মূলথ বেশি আসত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এখন চাকরি প্রার্থীদেরই বেশি দেখা যায়।
প্রস্তাবিত বহুতল আধুনিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে গ্রন্থাগারে পাঠকের আগমন বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে সাহিত্য ও সংস্কৃতিক চর্চা। নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ বলছেন গ্রন্থাগারে আসা পাঠক ও গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।
বিভাগীয় সরকারি গণ-গ্রন্থাগারের উপ-পচিালক ড. মো: আহছান উল্যাহ জানান, জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এটাকে ভেঙ্গে ফেলাই উত্তম। আমরা আমাদের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি দিয়েছি। সে আলোকে আমাদের অধিদপ্তর থেকেও ২০১৭ সালে স্থাপত্য অধিদপ্তরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে আমি জানি। কিন্তু এই পর্যন্তই এর সীমাবদ্ধতা। কার্যক্রম আর বেশি দূর এগোয়নি।
ভগ্ন দশা খুলনা সরকারি গণ-গ্রন্থাগার
Leave a comment