
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, যারা এ দেশে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ করে, রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদেরকে না বলুন। এদের বাংলাদেশের রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, দুর্নীতিবাজ, এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই। অন্যদিক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষের মনে শান্তি, ঘরে খাবার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশের মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সুন্দর জীবন পেয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই নৌকাই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে এবং এই নৌকাই দেবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। এই নৌকায় ভোট দিয়েই দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে হবে। আমাদের ছাত্র ও যুবকেরা স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আর দক্ষ ও স্মার্ট যুবকসমাজই ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নত জীবনের জন্য নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের গোলকমনি পার্কে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। অতিথির বক্তৃতা করেন বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ ও আব্দুল্লাহ হারুন রুমি। প্রধান বক্তা ছিলেন সদর থানা সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি ও ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল। ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটোর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, রনজিত কুমার ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ ও কাউন্সিলর কনিকা সাহা। সভায় উপস্থিত ছিলেন শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, মো. তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, শেখ মো. আবু হানিফ, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, নূরিনা রহমান বিউটি, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, জি এম রেজাউল, মুক্তি রায়, শমশের আলী, সুপ্তি হাসান, প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, দেবাশীয় কর্মকার, বিমান সাহা, সিরাজুল ইসলাম, আনিছুর রহমান অনি, আহাদ হোসেন মোল্লা, রতন মিত্র, আনোয়ার হোসেন সোনা, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু, শাহরিয়ার খোকন, জাহাঙ্গীর আলম, রনবীর বাড়ৈই সজলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।