জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে হালাল ট্যাগযুক্ত সব ধরনের পণ্য তথা হালাল সনদযুক্ত পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
যোগী প্রশাসনের নির্দেশিকায় এই নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, খাবার সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে হালাল একটি ভিন্ন পদ্ধতি হওয়ায় খাবারের গুণমান নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যা খাদ্য সুরক্ষা আইনের ৮৯ ধারা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। খাবারের গুণমান নির্ধারণ করার অধিকার কেবল কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে হালাল হালাল খাবার উৎপাদন, সংগ্রহ বা সংরক্ষণ, বন্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। অবিলম্বে এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। তবে রফতানির জন্য যে হালাল খাবার উৎপাদন করা হতো, তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না।
যোগী সরকার জানিয়েছে, যদি কেউ হালাল খাদ্যপণ্য উৎপাদন বা বিক্রি করেন এবং হালাল সার্টিফায়েড ওষুধ, মেডিকেল ডিভাইস বা কসমেটিক্স বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে ওই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সরকারি নিয়মে কোথাও ওষুধ বা কসমেটিক্সে হালাল সার্টিফিকেশন মার্কিংয়ের নিয়ম নেই। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন, ১৯৪০-তেও এই সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ নেই।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, উত্তর প্রদেশে ভুয়া নথি দেখিয়ে হালাল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।
এই অভিযোগের পর গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এ মর্মে রাজ্যের একাধিক হালাল সার্টিফিকেট প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। সেই এফআইআরের একদিন পরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলো প্রশাসন।
হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পণ্য হলও সেই জিনিসগুলো, যা ইসলামিক আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে এবং ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করেই সেসব পণ্য মুসলিমরা ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাংস থেকে শুরু করে সাবান, তেলও হতে পারে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত