প্রায় ছয় মাস বন্ধ রাখার পর আগামী অক্টোবর মাস থেকে আবারও প্রাণঘাতী করোনার টিকা রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছে ভারত। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে। এছাড়া টিকা রপ্তানির শুরুর প্রথম দিকেই বাংলাদেশ টিকা পাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
নয়া দিল্লিতে টিকা রপ্তানির ঘোষণা দেয়ার সময় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার উদ্বৃত্ত টিকা থেকে রপ্তানির পাশাপাশি আগের মতো অনুদানও দেবে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশীরাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
এদিকে টিকা রপ্তানির ঘোষণা আসার পর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো অগ্রাধিকারে থাকা অংশীদাররা প্রথম দিককার প্রাপকের তালিকায় থাকবে।
টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাওনা ডোজ পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনেওয়ালা। তিনি জানান, অক্টোবর থেকে তারা ২০০ মিলিয়ন টিকা উৎপাদন করবেন। বিশ্বকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দেয়া যাবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইউস্টিটিউট। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। এরপর আর টিকা পায়নি বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও সংকটের কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে গণটিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিকল্প উপায়ে টিকা সংগ্রহ করে আবার এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। ভারত থেকে টিকা এলে টিকাদান কর্মসূচি আরও গতি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।