সৈয়দ বাসিত সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, আমার দাদার কাছে আসতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। তার মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা আসতেন বাবার কাছে। তিনি বাবার সঙ্গে ঢাকা ও দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন। আমার বাবাকে এখনও চিনেন তিনি। এই প্রথমবার আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। আশা করি ভালো বৈঠক হবে।
ভারতীয় সুফি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হলো প্রায় ৭০০ বছর পুরনো দরগাটি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত নিজামুদ্দিন দরগায় যেতেন শেখ হাসিনা। ওই সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ১৯৮১ সালের ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দরগাটিতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তাকে একটি নথি দেওয়া হয়েছিল, যা ১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মাজার পরিদর্শনের সময় লিখেছিলেন। এই মুহূর্তটি এখনও তিনি মনে লালন করেন।
সৈয়দ বাসিত নিজামি উল্লেখ করেছেন, তিনি যদি আসেন, একটি মনোবাসনা নিয়ে আসবেন। দাদা ও বাবার মতো আমিও তার জন্য দোয়া করবো। আমি আশা করি এখান থেকে তিনি খুশি মনে ফিরে যাবেন।
১৯৯৭ সালেও শেখ হাসিনা নিজামুদ্দিন দরগা সফর করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দরগাটিতে এটিই তার প্রথম সফর। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে অবস্থান করবেন তিনি। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে কানেক্টিভিটি ও পানিবণ্টন।
এবার ভারত সফরের সময় শেখ হাসিনা শুধু নিজামুদ্দিন দরগা সফর করবেন তা নয়, রাজস্তানে আজমির শরিফ দরগায়ও যাবেন। ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আজমির শরিফ গিয়েছিলেন। পরে ২০১৭ সালেও দরগাটি সফর করেছেন তিনি।
হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগার জিম্মাদার ফরিদ আহমেদ নিজামি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা দরগায় আসবেন। তার বাবার মাধ্যমে দরগাটির সঙ্গে তার পুরনো যোগসূত্র আছে। তার বাবা এখানে আসতেন। তিনিও অতীতে এসেছেন।
নিজামুদ্দিন দরগাটি বেশ কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রনেতা পরিদর্শন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ ফয়সাল, ইরান ও ইরাকের নেতা, পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ ও হিনা রাব্বানি খার। স্পষ্টভাবে অঞ্চলটিতে দরগাটির আধ্যাত্মিক ও কূটনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।
Sign in to your account