জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর বাণী ছিল শান্তির। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করে সেই বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশে মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ হয়। এটা কেবল অহিংস ও শান্তির বাণীর কারণে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিন দিনের আন্তর্জাতিক যুব শান্তি ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়ায় আমরা গর্বিত। বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গান্ধীজির নীতি এখনো প্রাসঙ্গিক। মহাত্মা গান্ধীর আগমনে নোয়াখালীতে মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতিসহ নানা দিকে মিল রয়েছে। গান্ধীজির জীবন ও শিক্ষা এবং নোয়াখালীতে আগমন মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের সেরা উদাহরণ। এর মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও উন্নয়ন হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র করার দাবি জানিয়ে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আগমনে নোয়াখালীবাসী গর্বিত। কিন্তু এই গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে অনেক পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন। যেন এটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে। এক্ষেত্রে ভারত সরকার এগিয়ে এলে এই আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।