
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা পদ্মপুকুর আঁটুলিয়া মুন্সিগঞ্জ ঈশ্বরীপুর রমজান নগর কৈখালী ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে আবারো একদিন একটা না বৃষ্টিতে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তলিয়ে গেছে শত শত চিংড়ি ও কাঁকড়ার ঘের বিশেষ করে বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের শতাধিক পুকুর ও মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। ফলে লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় মাছচাষিরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বহু পুকুর ও ঘেরের পাড় ভেঙে গেছে, কোথাও কোথাও খাল ও নদীর সঙ্গে সংযোগ হয়ে গেছে পুকুরের। এতে চাষ করা মাছ খোলা পানিতে ভেসে গেছে। চিংড়ি, রুই, কাতলা, তেলাপিয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।পোড়াকাটলা এলাকার মৎস্যচাষি সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, “আমি দুটি পুকুরে নানা প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পুকুরের পাড় ডুবে গেছে, সব মাছ ভেসে গেছে বলে আশঙ্কা করছি।”স্থানীয় মৎস্যচাষিরা জানান, সোমবার দিনভর বৃষ্টির কারণে মাছ ভেসে গিয়ে কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে যদি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মোল্লা জানান, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভামিয়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য একমাত্র অবলম্বন ভামিয়া পাঁচ ফোকড় কলগেটটি বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। ফলে কার্যকর পয়ঃনিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না।ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিকাশ ম-ল বলেন, “এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লুইসগেট না থাকায় পানি নামতে পারছে না। ভামিয়া স্লুইসগেটটি প্রশাসনিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, সেটিও জলাবদ্ধতার বড় কারণ।”সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঘের ও পুকুরের পাড় উপচে মাছ ভেসে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামের তারাপদ মন্ডল এই প্রতিবাদকে জানিয়েছেন ১৪ই জুলাই একদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তার ৩৫ বিঘা চিংড়িখের ও ছয় বিঘার কাঁকড়ার ঘের এখনো পর্যন্ত মুষলধারে বর্ষা হচ্ছে। তিনি আরো জানান এমন ভারী বর্ষা যদি আরো দুই এক দিন হয় তাহলে উপকূলে মানুষের চিংড়িখের কাঁকড়া ঘের সবজি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।