
জন্মভূমি রিপোর্ট : ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। দানা পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। কৃষকের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে। অনেক চাষি তরমুজে লোকসান গুনছেন। ফলে তারা ভুট্টা চাষে ঝুকছেন। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হয়েছে ভুট্টা। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০বিঘা জমিতে ২০টি প্রদর্শনী প্লটে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, কীট নাশক ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। অল্প চাষ ও খরচে অধিক লাভ।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলার কৃষি উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্প নানা মুখি গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। এই প্রকল্পের অর্থায়নে পুটিমারী, তেতুলতলা, চক্রাখালী, দেবীতলা ও গাঘরামারী গ্রামে হাইব্রিড মারজানা ও বারি ৯এবং ১৬ জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। আমন ধান কাটার পরে ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয়েছে এবং চলতি মাসের শেষ দিকে ফসল কাটা হবে। প্রতি বিঘায় ৩০মন ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিপলিং পদ্ধতিতে চারা রোপণ করলে দ্রুত বেড়ে উঠে এবং ফলন ভালো হয়। কিছুটা সেচের অভাব দেখা দেয়। বৃষ্টি হওয়াতে অনেকটা সেচের অভাব দূর হয়।
দেবীতলা গ্রামের কৃষক অংশুমান রায় ও বনস্পতি রায় বলেন, আমরা গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফসল আবাদ করেছি। বিনা মূল্যে সব কিছু পেয়েছি। আশা করছি উৎপাদন ভালো হবে। দেবীতলা খালটি খনন শুরু হয়েছে। এতে সেচের অভাব দূর হবে। এই খালটি দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার কৃষকরা।
প্রকল্প কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পাদে পরিনত করা হয়েছে। প্রশিক্ষনলদ্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে দ্বিগুন ফসল উৎপাদন হয়। কৃষকদের বিনামূলে সার, বীজ প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার উপকরণ বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়েছে। রয়েছে সেচ সংকট।