সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে চারমাসে ১লাখ ৩১হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। ভারত থেকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৩ নভেম্বর থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই চাল আমদানি হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় এ চাল আমদানি করে। চালের বাজার স্থিতিশীল ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ ৫ এর আওতায় প্রথম ৫০ হাজার মেট্রিকটন নন- বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমতি দেয় সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৫ টাকার ০৬ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রতি টন ৪৫৮.৮৪ ডলার দরে ভারতের মেসার্স বাগদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান দাঁড়ায় ২৭৫ কেটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চাল আমদানির পরও স্থিতিশীল ছিল না বাজার মূল্য। চাল নিয়ে চালবাজির বিষয়টি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সরকারের। চালের দাম কমানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেয় সরকারের নীতি নির্ধারক মহল। একপর্যায়ে চালের ওপর থেকে আমদানি ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়ে পর্যাপ্ত চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এরপর প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে শুল্কমুক্ত কোটায় চাল আমদানি করে অনুমোদনপ্রাপ্ত আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি চাল আমদানি হয়েছে ভোমরা বন্দর দিয়ে। ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভোমরা বন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি। ভোমরা থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের সময় স্বল্পতা ও আর্থিক সাশ্রয় ব্যবসায়ীদেরকে আগ্রহ বাড়ায়। পণ্য পরিবহনে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে উন্নত। পণ্য ছাড় করনের পর অতি দূরত্ব পৌঁছাতে পারে দেশের বাজারে। ভোমরা স্থল বন্দর উপ-পরিচালক জানান, ভারত থেকে আসা চালের ট্রাক স্থল বন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দ্রুত ছাড়করনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাতে আমদানিকৃত চাল দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহ হতে পারে।