
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: ভোমরা বন্দরে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশে গতিশীল রপ্তানি বাণিজ্যেও ধ্বস নেমেছে। ভারতের বাজারে দেশীয় পণ্যের কদর থাকলেও স্থল পথে অনেক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না। এরপরও ভোমরা স্থল বন্দরের রুট দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি দেশীয় রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ২১ হাজার ৫২৬টি ট্রাকে ২লাখ ৭২হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন দেশীয় পণ্য ভারতের বাজারে রপ্তানি হয়েছে। যার রপ্তানি মূল্য ছিল ৩২ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মে মাস পর্যন্ত ২২ হাজার ৬৬৬টি গাড়িতে ২লাখ ৪৯হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন দেশীয় পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। যার রপ্তানি মূল্য ছিল ২৮কোটি ২৬ লাখ ৯০হাজার টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে ৪১৫কোটি ৭৫হাজার টাকা অধিক রপ্তানি মূল্য বেড়েছে। রপ্তানি মূল্যের প্রবৃদ্ধির হার ১৪ দশামিক ৭১ শতাংশ। সরকার চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতে ৩২ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে। প্রাপ্ত রপ্তানি বাণিজ্যের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার শওকত হোসেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা দরকার। এমনটি জানালেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন। ভোমরা কাস্টমস সি এন্ড এফ এজেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, দেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই ভোমরা বন্দর দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে। চাঁদাবাজি তোলাবাজি আর একচ্ছত্র বিস্তার প্রবণতা না থাকায় রপ্তানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। রপ্তানি বান্ধব বন্দর হিসাবে ভোমরার গুরুত্ব রয়েছে অধিক। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রপ্তানি বাণিজ্যের বিকল্প নেই। আমরা দেশীয় পণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। রপ্তানি পণ্য দ্রুত ছাড়করণে কাস্টমস প্রশাসন সর্বক্ষণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। রপ্তানি বাণিজ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়।