আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ
সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনের নামে মামলা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চট্টগ্রামের ব্যবসায়িকে ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় ব্যবসায়ী সাঈদ মোহাম্মদ সাদাত বাদী হয়ে এএসএম মাকসুদ খানসহ ৫ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেছে। ১৫ দিন ধরে আটকে ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান তার অফিসে আটকে অমানুষিক নির্যাতন করে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সাঈদ মোহাম্মদ সাদাতকে।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ গত শুক্রবার বিকালে ওই ব্যবসায়িকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খানের অফিসের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাঈদ মোহাম্মদ সাদাত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ গ্রামের মৃত সামশুল আলম চৌধুরীর ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার এএসএম মাহফুজুর রহমানের ছেলে ও ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান।
কি কারণে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ির স্ত্রী ফারহানা রেজা বলেন, গত ঈদুল আযাহার সময় আমার স্বামী মাখছুদ খানের কাছ থেকে বাকীতে দুই ট্রাক পেয়াজ, রসুন ও শুকনা মরিচ নিয়ে কোম্পানি গঞ্জের খাতুন গঞ্জের হামিদুলআলাহ মার্কেটে বিক্রি করে। তবে ক্রয় মূল্য থেকে বিক্রয় মূল্য অনেক কম হওয়ায় তার সব টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। তিনি বলেন, পরবর্তীতে মাখসুদ খানসহ কয়েক জন চট্টগ্রামে গিয়ে সবকিছু জেনে চলে যান। এরপর থেকে আমার স্বামীর তাদের (মাখছুদ খান) নিয়মিত যোগাযোগ হতো। লোকশানের টাকা ব্যবসা করে কিভাবে পরিশোধ করা যায় সে জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর মাকছুদ খানের সাথে কথা বলার জন্য আমার স্বামী তার সাথে দেখা করতে যায় ভোমরায়। সেখান থেকেই আমার স্বামী মাখছুদ খানের অফিদের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়। ফারহানা রেখা বলেন, আমার স্বামীর কাছ থেকে মোবাইলসহ সবকিছু কেড়ে নেয়। ১৫ দিনের মধ্যে কিছু সময় আমার সাথে কথা বলতে দেন। অন্য কাহারোর সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়নি। মাখছুদ খান সাতক্ষীরাতে না থাকায় তিনি আসলে সমাধান হবে বলে তার ম্যানেজার আমার স্বামীকে জানান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা রের্কড করা হয়েছে। মামলার আসামী ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিন হোসেনকে জিজ্ঞাসা বাদ করার জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।