
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশমঞ্চের সামনে শুরুর দিকে সাবেক সাংসদ ও সাবেক মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলেও পরে বাজে হট্টগোল। এসময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠে। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মী সেখান থেকে পিছু হটে যায়।
সোমবার দুপুরে ১ টা ৪০ মিনিট। সমাবেশ মঞ্চে চলছিল জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে সমাবেশ শুরুর অপেক্ষায় বসে ছিল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের মাঝেই বসে ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীরা।
এসময় মঞ্চ থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা মাইকে ঘোষণা দেন লাল ও সবুজ ক্যাপ পড়া ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের মিছিল সামনের দিকে এগিয়ে এসে দাড়াতে। তখনও সমাবেশমঞ্চ বাউন্ডারীর বাইরে সামনের সারিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে ও বসে ছিল। তাদের মাথায় ছিল হলুদ ক্যাপ, পরনে হলুদ ও সাদা গেঞ্জি। বার বার মঞ্চ থেকে সবুজ ও লাল ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীদের সামনের সারিতে অবস্থান নিতে বলা হয়। মঞ্চ থেকে বারবার উস্কানী দেওয়ার এক পর্যায়ে লাল ও সবুজ ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে। এসময় সামনের সারিতে জটলা সৃষ্টি হয়। এসময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। লাঠি দিয়ে মারপিটও করা হয়। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মী সেখান থেকে পিছু হটেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আমি ঘটনা স্পটে ছিলাম না। তবে হয়তো মঞ্চ থেকে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও যুবদলের কর্মিরা লাল সবুজ রং এর ক্যাপ গেঞ্জি পরিহিত ছিলো, তাদের সামনে যেতে বলতেই পারে। এ নিয়ে অপ্রিতীকর অবস্থা হওয়ার কথা নয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘ বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। যেটা ঘটেছে সেটা খুবই সামান্য। যা বড় সমাবেশে ঘটতেই পারে।