মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে হামিদা আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তার তালাক প্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। শহরের কল্লাকাটা ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে একটি মাইক্রো বাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী রুহুল আমিন এর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে হামিদাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে সিনেমা স্টাইলে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হামিদা আক্তার উপজেলার জরিপেরচর গ্রামের হাবিব খানের মেয়ে ও শহরের মহিউদ্দিন মহিলা ডিগ্রী কলেজের স্নাতকের ছাত্রী।
হামিদার মা খোর্শেদা বেগম জানান, রুহুল মদ্যপ অবস্থায় হামিদাকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তাই স্বামীকে ১৮ সালের পর হতে এখন পর্যন্ত একাধিকবার তালাক দেয় হামিদা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামিদাকে তার বাড়ি হতে ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর ২০-২৫টি মোটরসাইকেল ও ২টি মাইক্রোবাস নিয়ে আরো একবার টেনে-হিঁচড়ে বিবস্ত্র অবস্থায় জনসম্মুখে অপহরণ করে রুহুল। তখন মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ হামিদাকে উদ্ধার করলে হামিদা বাদী হয়ে সাবেক স্বামী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে যা বর্তমানে চলমান আছে। তবে মামলা এড়িয়ে কৌশলে রুহুল তখন প্রবাসে চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে হামিদা ও তার পরিবারকে বারবার অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে। এরপর গত মঙ্গলবার পুনরায় অপহৃত হয় হামিদা। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ রুহুল আমিনের বাড়িতে অভিযান চালায় এর কিছুক্ষণ পর রুহুল আমিন হামিদার পরিবারকে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে বাড়াবাড়ি না করতে বলে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখি একটি লালছে রংয়ের অ্যাম্বুলেন্স ও কয়েকটি মোটরসাইকেল গোল করে দাঁড়িয়ে একটি মেয়েকে টানাহেঁচড়া করে মাইক্রোবাসে উঠায়, এ সময় আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ৮/১০ জন লোক নানা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে হুমকি দিয়ে নিমিষেই গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা সরকারি জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে জানাই এবং ফেসবুকে পোস্ট করি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশী অভিযান অব্যহত আছে।