শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া দধিভাঙ্গা-বড়হারজি-মঠবাড়িয়া খালের তেঁতুলতলা বাজার সংলগ্ন দখলকৃত খালের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান উপস্থিত থেকে এ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
তেঁতুলতলা বাজেরর পাশ দিয়ে বহমান খালের তীর দখল করে স্থানীয় মো. শাহীন জমাদ্দার ও তার ভাই পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। এ ছাড়া সাবেক ইউপি সদস্য সগীর হোসেন ডা. আরমগীর হোসেন খালের তীর দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন।
প্রায় গত ৪/৫ বছর ধরে বাজার কেন্দ্রীক সুবিধাবাদী প্রভাবশালী এক শ্রেনীর ব্যক্তিরা খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে খালের প্রবাহ নষ্ট করে আসছে। উপজেলার দধিভাঙা বাজার হয়ে তেঁতুলতলা ও বড় হারজি বাজারের খালটি স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী খালের তীরে নানা পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছে। তেঁতুলতলা বাজারের সেতুর দুই পাশে বেশ কিছু পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছিল। অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে কয়েকদফা নির্দেশ দিলেও দখলদাররা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দধিভাঙা-তেঁতুলতলা-হারজি খালের ওপর স্থানীয় ঘোষের টিকিকাটা, বকশীর ঘটিচোরা, কুমিরমারা, টিকিকাটা, লোদের হাওলা, হারজীনলবুনিয়া, ঠুডাখালী, কাঁকড়াবুনীয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষি জমির সেচ কাজ নির্ভশীল। খালটি অব্যহত দখল ও পুনঃ খননের উদ্যোগ না থাকায় এ খালটি চরম নাব্যতা সংকট দেখা দিয়ে মরা খালে পরিনত হচ্ছে। স্থানীয় ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের কৃষকরা জানান, এক দিকে দখল আর অন্যদিকে খননের অভাবে খাল এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের এ খাল এখন আর কৃষির কোনো কাজে আসছে না। খালটি দখল মুক্ত করে দ্রুত খনন করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম বলেন, আইনানুগ ভাবে তেঁতুলতলা বাজার খালের এ অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পর্য়াক্রমে উপজেলার সকল খালে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত