শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত মো: মামুন খন্দকারের (৪৩) মরদেহ ছয় মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবর থেকে নিহত বিএনপি নেতার মরদেহ ৫ মাস ২৬ দিন পর তোলা হয়। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। নিহত মামুন খন্দকার উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমান খন্দকারের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ঢাকার আশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন এবং ওই এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। নিহত মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের লোক জনের হাতে গুলিবিদ্ধ আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
মামুন খন্দকারের নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মঠবাড়িয়ায় গুলিতে নিহত বিএনপি নেতার লাশ উত্তোলন
Leave a comment