শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়েরিয়া। দূষিত পানি ও বাসি-পঁচা খাবারের জন্য এ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মঠবাড়িয়ায় গত দশ দিনে নারী-পুরুষ-শিশুসহ প্রায় শতাধিক লোক ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত দশ দিনে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নেয়া রোগিরা হলো উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের আঃ হকের পুত্র রফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী আখি, ফজলুল হকের শিশু কন্যা আমেনা, মৃত আলী হাসানের পুত্র ইউসুফ, হামিদুর রহমানের ১৩ মাসের পুত্র সাইফুদ্দিন, দাদন আলীর পুত্র জামাল হোসেন, হেমায়েত এর পুত্র সোহেল, আঃ কুদ্দুসের পুত্র আল আমিন, আদম আলীর পুত্র মোঃ লাল মিয়া, ইসাহাক আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম, সৈয়দের পুত্র সাইদুর রহমান, হালিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম, দেবীপুর গ্রামের কান্ত হাওলাদারের পুত্র মনিন্দ্র হাওলাদার, উত্তর রাজপাড়া গ্রামের আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী আয়শা আক্তার, পাঁচশত কুড়া গ্রামের বজলু মিয়ার স্ত্রী কমলা বেগম, ঘটিচোরা গ্রামের মাসুমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের ইমান উদ্দিন পুত্র আঃ মান্নান হাওলাদার, জিয়াউরের ১৬ মাসের কন্যা জান্নাতি, সাপলেজা গ্রামের আল আমিনের চার মাসের শিশু কন্যা আরিফা, শাখারীকাঠীর সুজন রায়ের স্ত্রী স্মৃতি রানী, উত্তর মিঠাখালীর ফারুক হাওলাদারের ছয় মাসের শিশু সন্তান ফাহাদ, দক্ষিণ বন্দরের রুবেল মাতুব্বরের আট মাসের পুত্র রাফসান, পাতাকাটা গ্রামের জসিমের ৬ মাসের শিশু কন্যা ফাতেমা, মাঝেরপুলের ছগিরের ১৯ মাস বয়সের পুত্র আঃ রহমান, চরকগাছিয়ার মনিরের স্ত্রী সালমা, উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের মোকলেসের স্ত্রী শেফালী বেগম, তুষখালী গ্রামের ছরোয়ার হাওলাদারের স্ত্রী নূরুন্নাহার, সেনের টিকিকাটা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ১৯ মাসের পুত্র আরিয়ান, পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের ওয়াজেদ হাওলাদারের স্ত্রী ফরিদা বেগম, পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের হাসেম আলীর পুত্র আলমগীর, লক্ষণা গ্রামের শাহাদাৎ খানের স্ত্রী রুনু বেগম, খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সুশীলের ১৪ মাসের পুত্র সুদীপ, ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মোতাহার হাওলাদারের স্ত্রী মরিয়ম, বাইশকুড়ার শিপনের ৭মাসের কন্যা সিফা, কালিরহাটের রাসেলের স্ত্রী কুলসুম বেগম, ঘোপখালী গ্রামের আঃ রশিদের পুত্র এমাদুল হক, আঃ রশিদের পুত্র ছগির, ছগিরের পুত্র সিফাত, সবুজনগরের ওয়াজেদ আলীর পুত্র সোবহান ফরাজী, আলতাফের স্ত্রী পারুল বেগম, বাদল হাওলাদারের স্ত্রী মানসুরা বেগম, ৩নং ওয়ার্ডের হাফেজের স্ত্রী নাজমা, দধিভাংগা গ্রামের জাকির হোসেনর পুত্র জিহাদ, রাজপাড়ার আনোয়ারের পুত্র মাহিম, বড় মাছুয়ার মনিরুজ্জামানের সাড়ে চার মাসের কন্যা সেফা, বেতমোরের আজিজ হাওলাদারের পুত্র মোজ্জাম্মেল, উত্তর সোনাখালীর ইউসুফের পুত্র রুম্মান, ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা, সূর্যমনি গ্রামের আলিমের স্ত্রী তাজিনুর, শহিদের স্ত্রী জেবুন্নেছা, হুমায়ূনের ১৫ মাসের পুত্র জারিফ, পশ্চিম টিকিকাটা গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া, বড় হারজী গ্রামের মোহাম্মদ হাওলাদারের পুত্র সামসুল হক, কালিকাবাড়ির মামুন হাওলাদারের ৮ মাসের পুত্র সিয়াম, মানিকখালীর রাসেলের ৮ মাসের পুত্র রাইয়ান, ফিরোজের ১৯ মাসের কন্যা ফারিয়া, কচুবাড়িয়া গ্রামের কালু বেপারীর পুত্র সাদিকুল, হোগলপাতি গ্রামের বাদশা মিয়ার ৯ মাসের পুত্র আরিফ, বুখইতলার মামুনের স্ত্রী তানিয়া, মিরুখালীর জাহিদুলের এক বছরের পুত্র ইস্রাফিল, বড় শৌলা গ্রামের নূরুল ইসলামের কন্যা আয়শা, হলতা গ্রামের নূর হোসেনের ১৬ মাসের পুত্র হাফিজুর, বড় মাছুয়া গ্রামের লাল হাওলাদারের পুত্র পারভেজ হাওলাদার, মধ্য রাজপাড়ার মৃত চান মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম, নলি গ্রামের হোসেনের পুত্র আবু হানিফ, চরকখালী গ্রামের আঃ রশিদের পুত্র নূরুল হোসেন, ছোট মাছুয়ার শাহজাহানের পুত্র সজিব, টিকিকাটার রাজু মুন্সী স্ত্রী লিলি বেগম, নিজামের পুত্র সুমন, সদর ইউনিয়নের রুবেলের ৮ মাসের পুত্র মাহিম, দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের আঃ লতিফের স্ত্রী পিয়ারা, ডৌয়াতলা গ্রামের আবু হানিফের ৬ মাসের পুত্র নাঈম, ছোট শিংগা গ্রামের কালামের ৬ মাসের কন্যা আয়েশা, রাজপাড়ার বেলায়েত আকনের স্ত্রী মালা বেগম, গুলিশাখালীর মনিরের স্ত্রী হালিমা, মানিকখালীর মৃত সত্তারের পুত্র মনসুর আহমেদ, কাকড়াবুনিয়ার আছমত আলীর পুত্র আঃ রব, গোলবুনিয়া গ্রামের আলামিনের ১৭ মাসের কন্যা আফিফা, ভাইজোড়া গ্রামের আল আমিনের ১১ মাসের পুত্র আরাফ ও পাশর্^বর্তী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের রাসেলের ১৫ মাসের পুত্র হাসিবুল হাসান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম জানান, দূষিত পানি ও বাসি-পঁচার কারণে ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি সকলকে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি পান ও বাসি-পঁচা খাবার না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
মঠবাড়িয়ায় দশ দিনে নারী-পুরুষ সহ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত প্রায় শতাধিক
Leave a comment