শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দধিভাংগা গ্রামে দুই একর ফসলি জমি নিয়ে বিরোধের কারণে গত সাত বছর ধরে অনাবাদি রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রশাসনের নজরে আসলে উভয় পক্ষকে বাদ দিয়ে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারের মাধ্যমে চাষাবাদের উদ্যোগে নেওয়া হয়। কিন্তু কহিনুর বেগম নামের এক নারী ১০-১২ জনের মহিলাদের একটি দল নিয়ে এতে বাঁধা প্রদান করেন।
জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার টিকিকাটা ইউনিয়নের দধিভাংগা গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেন তালুকদারের পুত্র তৌহিদ নেওয়াজ তালুকদারের পূর্ব পুরুষরা আর.এস ও এস এ রেকর্ড মূলে ওই জমি বিগত একশ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিল। এরই মধ্যে তাদের নামে বি,এস রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম ওই জমি সি,এস রেকর্ডে তার দাদা শ^শুরের বাপের দাবী করে চাষাবাদে বাঁধা প্রদান করে আসলে গত সাত বছর ধরে অনাবাদি থাকে। এনিয়ে তৌহিদ নেওয়াজ জমি চাষাবাদের জন্য প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ ও পরবর্তীতে মঠবাড়িয়া থানায় আবেদন করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানা কর্তৃপক্ষ বিরোধের কারণে উভয় পক্ষকে বাদ দিয়ে স্থানীয় মেম্বর ও চৌকিদারের মাধ্যমে অনাবাদি জমি চাষাবাদের উদ্যোগে নেন।
স্থানীয় চৌকিদার নাসির উদ্দিন জানান, থানার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার বিকেলে টিলার নিয়ে ওই জমি চাষাবাদের জন্য গেলে কহিনুরের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মহিলা মাঠের মধ্যে নেমে চাষাবাদ বন্ধ করে দেয়।
ইউ,পি সদস্য নাজমুস সাকিব শিপলু জানান, ওই জমি নিয়ে কহিনুর বেগম ২০১৬ সালে আদালতে একটি মামলা করেন। এর পর থেকে তিনি উক্ত জমি চাষাবাদে বাঁধা প্রদান করে আসছেন।
ইউ,পি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার জানান, এক খন্ড জমি অনাবাদি থাকবেনা প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা অনুযায়ি ৩য় পক্ষের মাধ্যমে উক্ত জমি চাষাবাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও থানা কৃর্তপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু এক পক্ষের নারীদের বাঁধার কারণে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত