
শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া : বলেশ^র নদ তীরবর্তী উপকূলীয় উপজেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ এলাকার মানুষের নিত্য সঙ্গী। সিডর আয়লাসহ বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষের প্রাণহানিসহ পানির স্রোতে ভেসে যায় অসংখ্য গবাদী পশু ও হাঁস-মুরগী। ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। ২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ১৫৯ জন মানুষের প্রাণহানীসহ ভেঙ্গে যায় অসংখ্য গাছপালা। বিধ্বস্ত হয় কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি। নদীগর্ভে ভেঙ্গে যায় কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। গত ১৪ মে’র ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঠিক তেমনটাই হবে এ আতঙ্কে ছিলেন উপকূলীয় মঠবাড়িয়ার বলেশ^র নদ তীরবর্তী জেলে পল্লীর সাধারণ মানুষসহ উপজেলার সর্বস্তরের লোকজন। কিন্তু সেই আতঙ্কের মোখার কোন প্রভাব না পড়ায় মহান রবের কাছে শুকরিয়াসহ স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে রক্ষায় উপজেলা মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা দ্বীপ মাঝেরচরের নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। দ্বীপে বসবাসরত সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনাসহ তাদের সার্বিক খোঁজখবরে সেখানে ছুটে যান পিরোজুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈকত রায়হানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলাটি পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের মাঝামাঝি অবস্থিত। যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানকার মানুষ কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা পৌরসভাসহ ১১ ইউনিয়নে ৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রেখে ছিলাম। একই সাথে ১২টি মেডিকেল টিম এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কার্যক্রম (সিপিপি’র) ১ হাজার ৭২০ জন ভলান্টিয়ার দুর্যোগকালীন সহায়তায় কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈকত রায়হান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার, মেডিকেল টিম, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি ছিল।