
যশোর অফিস : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে বিশ্বাস ফিসের সত্ত্বাধিকারী আমজাদ আলীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নিজ মৎস ঘেরের পাশে অতর্কিত হামলা করে আহত করে চার লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৭ টার সময়। ব্যাবসায়ী আমজাদ আলী কেশবপুর থেকে মাছ বিক্রি করে ঘেরের পার্শ্বে বসবাসকারী রাজকুমারের স্ত্রী কনক লতার ফোন পেয়ে দ্রুত গতিতে ঘেরে যাওয়া সময় মোবারকপুর গ্রামের ইসমাঈলের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) তরিকুল ইসলামের ছেলে নাঈমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন কিশোর গতিরোধ করে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এসময় ঐ কিশোর দল কেশবপুর মাছ বিক্রি করা ৪ লক্ষ টাকা ব্যাগ গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিতেই আবারও বেদম মারপিট করে তারা।এসময় ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী আমজাদ আলী টাকা ও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে ডাক চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আমজাদ আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিকালে আমার ঘেরের পার্শ্বে বসবাসরত রাজকুমারের স্ত্রী কনক লতার সাথে ঐ কিশোরদের সাথে কথাকাটাকাটি হয় আমার ঘেরে নেমে নৌকায় উঠে নৌকা ভাঙার চেষ্টা করলে। তখন কনক লতা তাদেরকে নিষেধ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ সাথে থাকা বন্দুক দিয়ে পেটফুটা করে দেওয়ার কথা বলে এবং আমার নিকট ফোন দিয়ে ডাকতে বলে আমাকেও হত্যার হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে চলে যায় এবং পরবর্তীতে তারা সন্ধার দিকে আবারও সঙ্গবদ্ধ হয়ে কনক লতাকে হত্যার জন্য দাঁ ও লোহার রড নিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে যায়।উক্ত বিষয়টি আমাকে ফোনে জানালে আমি মাছ বিক্রি টাকা নিয়ে ঘেরে চলে আসার পথে আমাকে আটকে মারপিট করে টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।