জন্মভূমি ডেস্ক : ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের এনআইডি ও পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন এবং পাসপোর্ট অফিসে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে ইসি ও পাসপোর্ট অফিসে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
এবার ঈদুল আজহার সময় এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সূত্র ধরেই মতিউরের বিপুল সম্পদের বিষয়টি সামনে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, পার্ক, বিলাসবহুল বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। জানা যায়, পুঁজিবাজারেও মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ আছে মতিউরের।
আলোচিত মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরে গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
মতিউরকে এনবিআর কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসি-র পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ব্যাংকের বোর্ড থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত