শহিদ জয়, যশোর : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার প্রভাষক উদয় শংকর হত্যা মামলার আরও চার আসামিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা হলো,অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন মোল্লা, একই গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে সুমন হোসেন, শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন ও মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত সালাম গাজীর ছেলে রাসেল কবীর। তাদের মধ্যে দুইজন হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত।
যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও যশোর ডিবি পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম ও এসআই মফিজুল ইসলামের সম্বন্বয়ে একটি টিম ১৭ জানুয়ারী দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তীতে মণিরামপুরের পাচাকড়ি গ্রাম থেকে রাসেলকে আটক করে।
আটকের পর আসামিরা জানিয়েছেন,মুলত টেকেরঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ও ঘের নিয়ে উদয় শংকর ও আরেক আসামি পবিত্রের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। তার জেরে পবিত্র শংকরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে আল-আমিনকে স্কুলের দপ্তরির চাকুরী দেয়া ও মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উদয় শংকরকে মারার জন্য বলা হয়। এজন্য তাকে অস্ত্রগুলি দেয় উত্তম। ঘটনার দিন সকালে আল-আমিন ও সুমন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পাঁচাকড়ি যেয়ে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে উদয় শংকর টেকেরঘাট বাজার থেকে ফেরার পথে আল-আমিন মোল্লা তার পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতেন মা হত্যা মামলা করে। ডিবির অনুসন্ধানে কয়েকজন আটক হলেও দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিল ওই চারজন। ডিবি তাদের অবস্থান শনাক্ত ও আটকের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত