
মনিরামপুর প্রতিনিধি : জ্যৈষ্ঠমাসে কাল বৈশাখীর ছোবলে যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরের দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙ্গে লন্ড-ভন্ড হয়ে পড়েছে। গত বুধবার রাতে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রেনিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষকরা বারান্দায় কোনরকমে পাঠদান করছেন।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে কাল বৈশাখীর ছোবলে দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টিনের চাল ও দেওয়াল ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমান পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাউনির সব টিন পাশের বিভিন্ন গাছের ডালে ঝুলছে। ভবনের বেশ কয়েকটি দেওয়ালও ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় শ্রেনিকক্ষের পরিবর্তে খোলা বারান্দায় অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। এ সময় কথা হয় সহকারি শিক্ষক(ইংরেজি) আসাদুজ্জামান মোল্ল্যার সাথে। তিনি জানান, ঝড়ে ভবন বিদ্ধস্ত হওয়ায় শ্রেনিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ নেই। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা ভেবে খোলাআকাশেরর নিচে বারান্দায় কোনরকমে পাঠদান শুরু করেছি। অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী সোহানা খাতুন জানায়, একেতো ঝড়ে স্কুলে ভবন ভেঙ্গে পড়েছে, তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। ফলে প্রচন্ড গরমের মধ্যে বারান্দায় বসে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গণিত বিষয়ের শিক্ষক কাইছেদ আলী জানান, পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার ফিরোজ জানান, বিদ্যালয়ের তহবিলে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় ভবন মেরামত করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভবন মেরামতের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য পল্øী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভবনটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে ঝড়ে অনুরূপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে উপজেলার যমযমীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসা। সহকারি অধ্যাপক নুরুল হক জানান, টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসার টিনশেডের ছাউনি উপড়ে গেছে। অপরদিকে সহকারি শিক্ষক আনিচুর রহমান জানিয়েছেন যমযমীয়া দাখিল মাদ্রাসার টিনের চাল ভেঙ্গে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদেও পাঠদান ব্যহত হবার উপক্রম হয়েছে।