মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে টিআর (টেষ্ট রিলিফ) প্রকল্পের ১৩১৮ বস্তা চাল পাচারের সন্দেহে ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার সকালে এক চাল ব্যবসায়ির গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে। বাঁধাঘাটা এলাকায় দুইটি ট্রাক থেকে সরকারি চাল নামানোর সময় অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দরুন চাল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বদানকারি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলী হোসেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলী হোসেন জানান, টিআর প্রকল্পের দুই ট্রাক চাল পাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার সকাল নয়টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পৌরশহরের বাঁধাঘাটা এলাকায় চাল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানের মালিকানাধীন মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে অভিযান চালান। দু’টি ট্রাক থেকে টিআরের সিল সম্বলিত ১৩১৮ বস্তা চাল নামানোর সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলী হোসেন চাল মালিক মতিয়ার রহমানকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় মতিয়ার রহমান আদালতকে জানান, তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সের কাছ থেকে পূজা উপলক্ষ্যে বরাদ্দকৃত ২৭ মে: টন (১৩১৮ বস্তা) চাল ক্রয় করেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে সরকার চাল বরাদ্দ করেন। সেই চাল কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু সরকারি সিল সম্বলিত মোড়কের পরিবর্তে অন্য বস্তায় প্যাকেটজাত করে বিক্রি করার কথা থাকলেও তা করেননি। এ ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় চাল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল পৌরশহরের বিজয়রামপুরে ভাইভাই রাইস মিল এন্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে কাবিখার ৫৫৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদারকে। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলে রোববার এ চাল পাচারের সন্দেহে এলাকাবাসী প্রশাসনকে অবহিত করেন।