মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে মোটরসাইকেলে করে ভাগ্নে এবং মামি কলেজে যাবার সময় পিছন থেকে ট্রাকের চাপায় ভাগ্নে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মারুফ হোসেন নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী মামী রিমি খাতুন। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পৌরশহরের বিজয়রামপুর এলাকার খইতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যুতে মারুফের পরিবারসহ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত মারুফ হোসেন উপজেলার মুন্সিখানপুর গ্রামের বাসিন্দা একটি ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ হাসান আলীর একমাত্র ছেলে। তবে ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন খানসহ এলাকাবাসী জানান, মারুফ এবং তার মামী রিমি মনিরামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার সকাল নয়টার দিকে বাড়ি থেকে মারুফ এবং রিমি মোটরসাইকেলে করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মনিরামপুর পৌরশহরের বিজয়রামপুর খৈতলা মোড়ে পৌছলে পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.তন্ময় বিশ^াস জানান, স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে মারুফকে মৃত ঘোষনা করা হয়। অপরদিকে রিমির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ভারপ্রাপ্ত) পলাশ বিশ^াস জানান, কোন অভিযোগ না করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।