মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে চাঁদপুর-মাঝিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির(ডিজঅনার) পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাশেম আলী ও শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে গত বৃহস্পতিবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দুইটি দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফ হোসেন বিবাদী জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম কামরান হোসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাশেম আলী এবং শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের সাথে তারা যৌথভাবে ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন কয়েক বছর আগে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সানরাইজ কনষ্ট্রাকশনের সত্ত্বাধীকারী নব্য আওয়ামী লীগ নেতা প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছে হাশেম আলী ৪৫ লাখ এবং আলতাফ হোসেন ১২ লাখ টাকা পেতে যান। ফলে জামাল উদ্দিন শ্রমিকলীগ নেতা আলতাফ হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে গত ৩০ এপ্রিল পূবালী ব্যাংক লিঃ, মনিরামপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব (৪৯২৪৯০১০০৫১৮৫) এর অনুকুলে ১২ লাখ টাকা এবং হাশেম আলীর নামে ৭ মে ৪৫ লাখ টাকার পৃথক দুইটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু জামালের ওই হিসাবে কোন টাকা না থাকায় চেক দুইটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনার করেন। ফলে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তারা আইনজীবীদের মাধ্যমে জামালের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু জামাল টাকা পরিশোধ না করায় গত ২২জুন যশোরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তারা পৃথক দুইটি মামলা করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফ হোসেন বিবাদী জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।
জামাল উদ্দীন বলেন, হাশেম আলী ও আলতাফ হোসেন আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার। এর মধ্যে হাশেম আলী আমার কাছে সাড়ে ১৩ লাখ এবং আলতফ হোসেন সাতে তিন লাখ টাকা পাবেন। তিনি বলেন, অচিরেই তাদের সাথে লেনদেনের বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাবে। চাঁদপুর-মাঝিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর-অর-রশীদ জুয়েল জানান, এর আগেও চেক জালিয়াতির মামলায় আদালত জামাল উদ্দিনকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়োছিলেন। ফলে তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আদালতে আবারও মামলা হয়েছে শুনেছি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত