
মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে প্রতিবাদকারী দুই যুবকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের মারপিটে আহত হয় নারীসহ ৫ জন। আর এ ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে মনিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিয়াড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে হামলার সময় বারবার খবর দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ সময়মত ঘটনাস্থলে আসেনি। সন্ত্রাসীরা চলে যাবার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তবে অভিযোগ রয়েছে ভাংচুরের পর রাতভর সন্ত্রাসীরা এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। পুলিশ বলছে অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার কাজিয়াড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট এলাকায় গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে আসছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদকসহ কয়েকবার আটক হয় মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হোতা আসাদুজ্জামান। আসাদের নামে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করেন কাজিয়াড়া গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমানের ছেলে সুমন হোসেন। এ নিয়ে গত ২৫ জুন সকালে সুমনের সাথে মাদক ব্যবসায়ী আসাদের ঝগড়া হয়। অভিযোগ রয়েছে এ ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বিকেলে আসাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সুমনের ওপর হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সুমনকে তারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী সুমনকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় সালিশী বৈঠকের ঘোষনা দেন। ফলে আসাদ বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীসহ সন্ত্রাসীদের জড়ো করে ওই সভায় যোগদানের জন্য। ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি মঙ্গলবারের সভা স্থগিত করেন।
নেহালপুর ফাড়ির ইনচার্জ এসআই এমরান জানান, হামলার খবর পাবার সাথে-সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে আসাদুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম, ইমান আলী, আরিফ হোসেন, ওয়াদুদ হোসেনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০ ব্যক্তির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।