মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র এড. শহীদ ইকবাল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছাসহ ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বুধবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে নাশকতার একটি মামলা দারের করেন। মনিরামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদি হয়েছেন এসআই সুমন হোসেন। এছাড়াও আটক ৬ নেতাকর্মীকে পুলিশ ওই মামলায় আসামি করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
দলিয় সূত্রে জানাযায়, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা সফলের লক্ষ্যে পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক পূর্বানুমতি নিয়ে বুধবার বিকেলে যশোরের মনিরামপুরে পৌর ও থানা বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সন্ধার পর যৌথসভা সমাপ্তের পরপরই পুলিশ বিএনপির অন্তত: ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে। এর মধ্যে রাত আটটার দিকে পুলিশ চারজনকে ছেড়ে দেয়। রাতে এসআই সুমন হোসেন বাদি হয়ে থানা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছা, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুস সালাম, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবদুল হাই, থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, আসাদুজ্জামান মিন্টু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওলিয়ার রহমান, রোহিতার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ঢাকুরিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান জিএম মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন, মাষ্টার মতিয়ার রহমান, রোস্তম আলী, ভোজগাতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার দফাদার, রেজাউল করিম, শ্যামকুড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন স¤পাদক মাহাবুব হোসেন,যুগ্ম সম্পাদক আনছার আলী, কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, দূর্বাডাঙ্গার আলতাফ হোসেন, দূর্গাপুর গ্রামের আসলাম হোসেনসহ ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি নাশকতার মামলা করেন। এরমধ্যে বুধবার রাতে আটক ১০ নেতাকর্মীর মধ্যে পুলিশ চারজনকে ছেড়ে দেয়। বাকী ৬ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেন। এরা হলেন যশোর নগর বিএনপির নেতা সিদ্দিকুর রহমান, মনিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার আলী, ঢাকুরিয়ার রোস্তম আলী, মাহাবুবুর রহমান, চালুয়াহাটি যুবদল নেতা বিল্লাল হোসেন পৌরশহরের বিজয়রামপুর-জুড়ানপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা বুধবার বিকেলে শহঅীদ ইকবাল হোসেনেরে বাড়ির উঠানে উপস্থিত হয়ে বৈঠক করছিল। সেখান থেকে ৬ নেতাকর্মীকে আটক এবং তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ককটেল বিষ্ফোরিত হয়ে পুলিশের চার সদস্য সামান্য আহত হবার দাবি করেন। এরা হলেন এসআই ময়ল বসু, ইব্রাহিম হোসেন, এএসআই কাজল চ্যাটার্জী ও কনষ্টেবল এমএ রশিদ। তবে ওসির এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানান, সম্পূর্ন উদ্দেশ্যে প্রনোদিত হয়ে পুলিশ একটি মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়েছে।এ দিকে থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন পুলিশের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক পূর্বানুমতি নিয়ে বাড়ির উঠানে যৌথসভার আয়োজন করা হয়। অথচ পুলিশ বিনা উষ্কানিতে ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে। এছাড়া তিনিসহ ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।