মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে বুধবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী মারিয়া খাতুন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। নিহত মারিয়া ঢাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে। আহতদের উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মারিয়া খাতুন ইজিবাইকে চড়ে স্কুলের যাবার সময় ইঞ্জিনের সাথে গায়ের চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে যাত্রীবাহী দুইটি ট্রেকারের ক্রসিংয়ের সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঢাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলীর মেয়ে ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী মারিয়া খাতুন প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ঢাকুরিয়ার তালতলা মোড়ে পৌঁছালে ইজিবাইকের ইঞ্জিনে চাদর পেঁচিয়ে মারিয়ার গলায় ফাঁস লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে দুপুর দুইটার দিকে মনিরামপুর থেকে যাত্রবাহী একটি ট্রেকার ঝিকরগাছার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মনিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পৌছুলে ঝিকরগাছা থেকে ছেড়ে আসা অপর যাত্রীবাহী ট্রেকারকে ক্রসিংয়ের সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেকারে থাকা যাত্রী মনিরামপুরের হালসা গ্রামের রজব আলীর ছেলে এনজিও কর্মী শরিফুল ইসলাম, চালকিডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধু বিউটি খাতুন ও মাদ্রাসা শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদেরকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে এনজিও কর্মী শরিফুল ইসলামকে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাজনিন নাহার জানান, শরিফুলের ডানপাশের কলারবোন ভেঙ্গে গেছে। যশোর পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অর্থোপেডিক সার্জন ডা. আব্দুর রউফ জানান, গতকাল রাতে শরিফুলের দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমান শঙ্কামুক্ত। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না করায় উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় ময়না তদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত