
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে নির্বাচনী উৎসব ফের জমে উঠতে শুরু করেছে। গত ৩ এপিল খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুরে তফশীল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও আওয়ামী লীগসহ নগরবাসীর মনে আগ্রহের কমতি নেই। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও নির্বাচন নিয়ে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুরে মনোনয়ন সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে বর্র্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবারো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। এই সিটিতে বিএনপির আধিক্য থাকলেও বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগ কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পাবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন বাছাই সম্পন্ন হয়েছে নানাভাবে প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে শুধু বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও অন্য সিটিতে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। বরিশালে চাচা-ভাতিজার মধ্যে লড়াই চলছে মেয়র পদের জন্য। এছাড়া গাজীপুরে সর্বোচ্চ আটজন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
সিলেটের পাঁচজনের মেয়র হতে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বাংলাদেশের মানুষ উৎসব প্রিয়। আর এদেশে নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচন এদেশে যেমন উৎসব মুখর তেমনি অনেক সময় বেদনা বিধূরও বটে। এদেশে নির্বাচন আসলে অনকাঙ্খিত হত্যাকাণ্ড ঘটার বহু নজির রয়েছে। আমরা আশা করবো এবারের সিটি করপোরেশেনের এই নির্বাচনে এমন অনাঙ্খিত ঞটনা ঘটবে না। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপতৎপরতা বিষয়ে দৃঢ়তার সাথে রুখে দিবে।
৫বছর পর দেশের ৫ সিটির এই নির্বাচন আবারো উৎসবে পরিণত হোক এটাই প্রত্যাশা।