
জন্মভূমি ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে দ্বিদ্ধাবিভক্তিতে ছিল খুলনাঅঞ্চলের সংষদ সদস্যরা। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি খুলনা বিভাগের সাত সংসদ সদস্য (এমপি)। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যের কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে চারবারের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি বলেন, ‘দল এবার মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রার্থী হইনি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না।’ খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবার মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি তা মেনে নিয়েছি।’
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে এবার মনোনয়ন পাননি বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আকতারুজ্জামান বাবুল। তিনি বলেন, দলের অবদানের কারণে আমি একবার জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এটি আমার জন্য বড় পাওয়া। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি।’
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন মনোনয়নপত্র জমার দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান সোহাগের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। নৌকার প্রার্থী সোহাগকে বিজয়ী করতে এলাকায় কাজ করছি।’
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত এমপি এস এম জগলুল হায়দার বলেন, নেত্রী টানা দু’বার আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি আমার আস্থা আছে। আমি নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করব।
মাগুরা-১ (সদর) আসনের বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মনোনয়ন পাননি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। শুধু দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।