
শেখ আব্দুল হামিদ : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী খুলনার ৬টি আসনের ৪৭ জন আওয়ামী লীগ নেতা এখন রাজধানীতে। এদিকে দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন ত-ানিয়ে হাটে-মাঠে, বাজারে, চায়ের দোকানে অনুসারীদের মধ্যে বাক্বিতন্ডার শেষ নেই। ঘুম থেকে উঠেই প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকানে বসছে আড্ডা। নতুন শীতের সূর্য পিঠে বসিয়ে চায়ের কাপে চুমু দিয়েই শুরু হয় তর্কবিতর্ক। নির্বাচন কি ভাবে হবে, কে পাচ্ছে মনোনয়ন আর ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় আলোচনার তালিকায় স্থান পায়। দূর থেকে দেখে এবং তাদের আলোচনা শুনে মনে হয় যেন নির্বাচন জমে উঠেছে। সকল জলম্পনা কল্পনার অবসান ঘটবে আজ নৌকার মাঝিদের নাম ঘোষণার মধ্যদিয়ে।
কোন প্রত্যাশীর সমর্থকই হার মানতে রাজী নয়। তারা নিজেদের নেতাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট বাস স্টান্ডে চায়ের স্টলে শুক্রবার সকালে এমনই এক আড্ডায় বসেন গ্রামের কতিপয় যুবক। এসময় লান্টু গাজি চায়ের কাপে চুমু দিয়ে বলেন, যে যাই বলুক নির্বাচন আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। তার উত্তর দিতে গিয়ে ইনছান শেখ বলেন, নির্বাচনকি তোর কথায় পিছাবে ? জানুয়ারীর সাত তারিখেই হবে। এ নিয়েই বচ্চা হয় প্রায় আধাঘন্টা। এ সময় বাবলু শেখ বলেন, এবার আমার নেতাই মনোনয়ন পাবে। তার উত্তরে সমর কুন্ডু বলেন, সে গুড়ে বালি। মনোনয়ন এবার দাকোপে যাবে। এভাই সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়। তারা তর্ক ছেড়ে বাড়ি যায়। আবার ফিরে আসে বিকেলে। গাড়ায় মধ্যরাত অবধি।
ডুমুরিয়া বাজারের চায়ের দোকানদার আবুল হোসেন বলেন, সময় কেটে যাচ্ছে নির্বাচনী আমেজে। বেঁচা-কেনাও বেড়েছে। খুব ভোরে এসে দোকান খুলতে হয়। আর মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে যাই।
গল্লামারী বাজারের মুদী ব্যবসায়ী আমীর হোসেন বলেন, খরিদ্দাররা কেনাকাটার ফাঁকে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। তারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এ আলোচনা থামছে না।
ইজিবাইক চালক মাহিন বলেন, প্রতিদিন গাড়ির যাত্রিরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা করে। সবাই সবার মনোনীত ব্যক্তিকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায়। সব ঘটনার জট্ খুলবে শনিবার মনোনয়ন প্রদানের মধ্যদিয়ে।