
প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে চার সড়কের সংযোগস্থল হচ্ছে
খান মোহাম্মদ আজরফ হোসেন : নগরীর ময়লাপোতা এলাকা হতে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শেষের পথে রয়েছে। বরাদ্দের থেকে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় সাশ্রয় করে এ কাজ শেষ হচ্ছে। অন্যদিকে, জিরো পয়েন্ট এলাকায় ৩০ কোটি ৮৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি সড়কের সংযোগস্থল (ইন্টারসেকশন) নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
গত ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ময়লাপোতা টু জিরোপয়েন্ট সড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরনের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি দুইটি প্যাকেজে বিভক্ত করে কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে সাড়ে ৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ সমাপ্তির পথে। দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। প্রকল্পের ব্যয় ১শ’১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ৯৯ কোটি ৮ লাখ টাকা খরচে কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। রোববার দুপুরে জিরোপয়েন্ট এলাকা সংলগ্ন সড়কের পাশে শ্রমিকদের ড্রেন নির্মাণ কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে বলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছেন।
চলতি পথে ইজিবাইক চালক মোঃ জামাল বলছিলেন, চার লেনের সড়কটি নগরীর অন্যতম উন্নত সড়ক। প্রশস্ত এই সড়কটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও যানজটমুক্ত।
এদিকে, ইন্টারসেকশন নির্মানের জন্য জিরোপয়েন্ট এলাকায় গোলাকৃতির একটি স্থান তৈরি করা হয়েছে। এর এক পাশে যশোর মুখি সড়কে এবং অপর পাশে সাতক্ষীরা মুখি সড়কে দুইটি রোড ডিভাইডার নির্মানের কাজ চলছে। ইন্টারসেকশন এরিয়ার চার পাশে এক কিলোমিটারের বেশি ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে। এছাড়া, ফুটপাথ ও আরসিসি সড়ক নির্মিত হবে। গোলাকৃতি করে রাখা স্থানে ফোয়ারাসহ দৃষ্টিনন্দন ভাষ্কর্য নির্মাণ হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ওই এলাকার সবগুলো রাস্তার পাশেই বিভিন্ন দূরপাল্লার পরিবহণের কাউন্টার রয়েছে। সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড হতে আগত বিভিন্ন পরিবহণ সেখানে থামছে। রাস্তার পাশে বসে পরিবহণগুলোর কর্মচাররিরা টিকেট বিক্রি করছেন। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরাজপুর, টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ,কুয়াকাটা, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বাসের টিকেট কিনছেন। সরেজমিন পরিদর্শণকালে এমন দৃশ্য চোঁখে পড়েছে।
সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য জানান, এলাকাটি দুর্ঘটনা প্রবণ। মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনায় হতা-হতের ঘটনা ঘটে থাকে। গত শনিবার সকালেও ট্রাকের ধাক্কায় মোঃ আলমগীর (৪০) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহি নিহত হয়েছেন। ইন্টারসেকশনের কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। তবে, সংশ্লিষ্ট সড়কে চলাচল নিরাপদ করতে রোড মার্কিং জরুরি প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর-এর খুলনা জোনের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ওই এলাকার সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে রোড মার্কিং করা হবে। সড়কের মাঝখানের ডিভাইডারগুলোতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হবে। জিরোপয়েন্ট ইন্টারসেকশন প্রকল্পের সময়সীমা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। তবে, নির্ধারণ করা সময়ের আগেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।