
জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেতে ভারতের করা আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জামদানি ও টাঙ্গাইল শাড়ির পর মসলিনের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ভারত। এসবের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের জন্য জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ির ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি কী করে পেলো ভারত? নিজের পণ্যের জিআই ফিরে পেতে বাংলাদেশের করণীয় কী? এনিয়ে বিস্তারিত জানাতেই শনিবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের-সিপিডি’র এই সংবাদ সম্মেলন।
চলতি বছরের শুরুতে ৪ঠা জানুয়ারি নিজেদের পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে ভারত। ২০২০ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর এই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে ভারত। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে এ বিষয়ে কোনও ধরনের আপত্তি জানায়নি বাংলাদেশের কোনও পক্ষ।
সিপিডি জানায়, প্রতি সপ্তাহে ৫০ হাজার শাড়ি ভারতে যাচ্ছে। এরপর জিআই স্বীকৃতিও তাদের। এর ফলে অর্থনৈতিকসহ বহুমুখী ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, জিআই স্বীকৃতি পেতে ভারতের করা আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
২০২৩ এর অক্টোবরে মসলিন শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে উল্লেখ করে আবেদন করেছে ভারত। এসব ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।