সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার বিভিন্ন মসজিদে মহাকল্যাণকর, বরকতময়, সৌভাগ্যের রজনী মহিমান্বিত পবিত্র লাইলাতুল কদর বিশেষ ইবাদতের মধ্য দিয়ে ভাব গাম্ভীর্যের সহিত পালিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য নেয়ামত মহিমান্বিত পবিত্র লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর অর্থ মহাসম্মানিত রজনী। মহান আল্লাহ তায়ালা এই রাতেই পবিত্র ঐশী গ্রন্থ আলকুরআন নাযিল করেন। পবিত্র কুরআনের সম্মানে মহান আল্লাহতালা এই রাত্রিকে সম্মানিত করেছেন।এই রাত্র যে সম্মানিত, মহিমান্বিত, গৌরবান্বিত তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদর নামে একটি সূরার মাধ্যমে। এই রাত্র কে হাজার বছরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বা উত্তম বলা হয় । ২০ রমজানের পর থেকে যেকোন বিজোড় রাত্রতেই মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর অন্তর্নিহিত আছে। তবে বিজ্ঞ, হাক্কানী ওলামায় কেরামের অভিমত ২৬ শে রমজানের দিবাগত রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই মহিমানিত রজনী ধর্মভীরু, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়েই পার করে।মহান রবের শোকরগুজারী ,নফল নামাজ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত জিকির আসকার এর মাধ্যমে রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।জেলার প্রত্যেকটি মসজিদে মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে বিশেষ বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে এ রজনী পার করেছে এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও ক্ষমা শান্তি কামনার প্রার্থনা করেছে। বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনির জন্য অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে দোয়া করা হয়েছে।এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপস্থিতিতে জেলার প্রত্যেকটি মসজিদ প্রাঙ্গন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।